জেফ বেজোস

ছোটবেলা থেকেই বিল গেটসের গল্প শুনে এসেছি আমরা, কিন্তু জেফ বেজোসের রাজকীয় উত্থানের গল্প আমরা অনেকেই জানি না। ওয়াল স্ট্রিটের চাকরি থেকে বই বিক্রেতা- বিভিন্ন প্রচেষ্টায় তার আজকের কিংবদন্তী হয়ে ওঠার পথে গল্প রয়েছে অনেক। জেফ বেজোস আমেরিকান বিজনেস ম্যাগনেট, শিল্প উদ্যোগপতি, সমাজসেবক ও বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স ওয়েবসাইট অ্যামাজন (Amazon) এর ফাউন্ডার এবং স্বত্বাধিকারী । ২০১৮ সালে তিনি আমেরিকার অন্যান্য শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের পিছনে ফেলে প্রথমবার বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনী ব্যক্তির মর্যাদা লাভ করেন। তিনি ই-কমার্সের বিপ্লব ঘটান। তার হাত ধরে বিশ্ববাসী ই-কমার্সের সাথে পরিচিত হয়েছে। তাকে ই-কমার্সের উদ্ভাবক ও প্রতিকৃত বলা হয়।

জেফ বেজোস এর ব্যক্তিগত জীবন

জেফ বেজোস এর জন্ম ১২ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালে । তার পিতার নাম টেড জর্গেনসন ও মাতার নাম জ্যাকলিন গ্রীস জর্গেনসন। তার মা খুব অল্প বয়সেই তাকে জন্ম দিয়েছিলেন। খুব সম্ভবত তখন তার মায়ের বয়স ১৬ ও পেরোয়নি এবং তার মা তখন স্কুলের শিক্ষাজীবনও শেষ করেননি। খুব কম বয়সে মা হওয়ার জন্য তাকে বিভিন্ন প্রতিকুল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। আর এই প্রতিকুলতার জন্য তার বাবা ও মায়ের মধ্যে সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর তার মা আবার বিবাহ করেন। দ্বিতীয় পিতা মাইক বেজোস তাকে খুব ভালোবাসতেন। জেফ বেজোসকে নিজের সন্তানের মতোই আদর ভালোবাসা স্নেহ ও শিক্ষা দিয়েছেন মাইক বেজোস। জেফ বেজোসের “বেজোস” টাইটেলটি তার দ্বিতীয় বাবার।
১৯৯৩ সালে বেজোস বিয়ে করেন ম্যাকানজিকে। কিন্তু গত ১০ জানুয়ারী ২০১৯ সালে বেজোস বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে দীর্ঘ ২৫ বছরের সঙ্গী ম্যাকানজির সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন। ম্যাকানজি বেজোস ছিলেন একজন নারী ঔপন্যাসিক। জেফ বেজোস ও ম্যাকানজি বেজোসের বিবাহ বিচ্ছেদের পর জেফ ম্যাকানজিকে দেন ৩৫০০কোটি ডলার। যা অ্যামাজনের শেয়ারের ৪ শতাংশ। এই বিবাহ বিচ্ছেদটি পৃথিবীর সবচেয়ে দামী বিবাহ বিচ্ছেদ বলা হয়।

জেফ বেজোসের শিক্ষা জীবন

তিনি পড়াশোনায় খুবই অসাধারণ ছিলেন। মাত্র ফোর্থ গ্রেডে পড়ার সময় তিনি তার প্রথম কোম্পানি তৈরি করেন “ড্রীম ইনস্টিটিউট” নামে। তার এই কোম্পানিটি এডুকেশনাল সামার ক্যাম্প পরিচালনা করতো। পরবর্তীতে কর্মসূত্রে তার পরিবার মিয়ামি ফ্লোরিডা তে চলে আসেন। সেখানে তিনি তার পড়াশোনা শুরু করেন, মিয়ামি পল মেট্রো হাই স্কুলে। এই স্কুলে পড়াশোনার সময় তিনি সামার ভ্যাকেশনে ম্যাকডোনাল্ড রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম শেফের কাজ করতেন। তার অসাধারণ প্রতিভার জন্য স্কুলে থাকাকালীন তিনি Star lexs ও Silver night মেডেল অর্জন করেছিলেন। এছাড়া তিনি আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্মারক অর্জন করেছেন অসাধারণ প্রতিভার জন্য। তাকে মহাকাশ গবেষণা বিষয়ক প্রতিষ্ঠানে সুযোগ দেয়া হয়, সেখানেও তিনি তার মেধার জন্য প্রশংসিত হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষ করার পর ওয়াল স্ট্রিটের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। যার মধ্যে ফিটেল, এবং ইনভেস্টমেন্ট ফার্ম “D.E.Shaw” উল্লেখযোগ্য। “D.E.Shaw” তে কাজ করতে গিয়ে তিনি অসাধারন সাফল্যের দেখা পান। ১৯৯০ সালে তিনি সেই ফার্মের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে পদন্নোতি লাভ করেন। এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সময়েই তিনি তার স্ত্রী ম্যাকেনজির সাথে পরিচিত হয়েছিলেন। ফিন্যান্সে একটি দারুন ক্যারিয়ার গড়ে তোলার পরও বেজোস ই-কমার্সে বিনিয়োগ করার ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৯৪ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে সিয়াটলে চলে যান। এবং একটি অনলাইন বুক শপ খুলে ইন্টারনেট মার্কেটিং জগতে পা দেন। বলা বাহুল্য, সেই সময়ে ইন্টারনেট মার্কেটিং খুবই অপ্রচলিত একটি বিষয় ছিলো।

অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা

অ্যামাজন শুরুর প্রথম মাসেই তিনি সফল হোন। এবং পরবর্তীতে ব্যবসার ধারাবাহিকতায় আজকে তিনি এই পর্যায়ে এসে পৌঁছেছেন। অ্যামাজন বর্তমানে লক্ষ লক্ষ পণ্যের একটি ওয়েবসাইট ভিত্তিক বিজনেস হলেও এটির পথচলা শুরু হয়েছিল শুধুমাত্র অনলাইনে বই বিক্রি করার উদ্দেশ্যে। এখানে কেনা যায় না এমন কিছুই এখন নেই। পোষা বিড়ালের খাবার থেকে শুরু করে বহুমূল্যের ক্যাভিয়ার পর্যন্ত পাওয়া যায় অ্যামাজনে, সেইসাথে বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে অর্ডার করা যায়। শুধু তাই নয় অ্যামাজনের আছে স্ট্রিমিং টিভি, নিজস্ব এ্যারোস্পেস কোম্পানি -যেটিতে খুব শীঘ্রই মহাশূন্য ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে। ৩ জন কর্মী নিয়ে শুরু করা অ্যামাজনের বর্তমান কর্মী সংখ্যা ৫ লাখ ৭৫ হাজার লোক – যা ইউরোপের দেশ লুক্সেমবার্গের জনসংখ্যার প্রায় সমান। তার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি অ্যামাজন এক সময় ছিল অনলাইনে পুরোনো বই বিক্রির প্রতিষ্ঠান। আর এখন তা শীঘ্রই হতে যাচ্ছে পৃথিবীর প্রথম ট্রিলিয়ন-ডলার কোম্পানি – অর্থাৎ এটির মূল্য হবে এক লক্ষ কোটি ডলার। এসবই কঠোর পরিশ্রমের ফলাফল।
অ্যামাজন নামটি সকলেরই পরিচিত। বিশ্বের বৃহত্তম ইন্টারনেট ভিত্তিক সংস্থার নাম অ্যামাজন। এই কোম্পানির যাত্রা খুব ছোট আকারে শুরু হয়েছিলো। ১৯৯৪ সালে যখন এটি অনলাইনে বই বিক্রি শুরু করে, তখন জেফ বেজোস বুঝতে পেরেছিলেন যে, অনলাইনে সফল হওয়া সম্ভব, খুব শীঘ্রই সারাবিশ্ব অনলাইন ভিত্তিক হবে। সেই ধারণা থেকেই আজ সংস্থাটি বই থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু বিক্রি করে এবং সেটি গ্রাহকদের বাসা পর্যন্ত পৌছে দেয়। যতটা সহজ মনে হচ্ছে, সেই সময়ে এটি তত সহজও ছিলো না। সেই সময়ের জন্য এই সিদ্ধান্তটি ছিলো নেহাৎ বোকামি বৈ কিছু নয় কারণ তখন অনলাইনে কেনাকাটার বিষয়টি মানুষের চিন্তাধারাতেও ছিলো না। তার এই ঝুঁকিপূর্ণ পথচলার গল্পটা জানা যাক।

জেফ বেজোসের বয়স যখন ৩০ বছর। সেসময় তিনি একটি পরিসংখ্যান দেখেন, যেটিতে ইন্টারনেট দ্রুত বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছিলো। তিনি তখন সিদ্ধান্ত নেন চাকরি নয় নিজেই কিছু একটা করবেন। বেজোস তখন তার উচ্চাভিলাষী চাকরি ছেড়ে দিয়ে চলে গেলেন আমেরিকার সিয়াটল শহরে।তার নিজের জমানো কিছু টাকা আর পরিবারের থেকে কিছু সাহায্য নিয়ে এক লক্ষ ডলার বিনিয়োগ করেন। এবং অনলাইনে পুরনো বই বিক্রির একটি কোম্পানি চালু করেন, যার নাম দেন অ্যামাজন। ১৯৯৫ সালে তিনি তার বাড়ির গ্যারেজে অ্যামাজন কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মাত্র এক মাসের মধ্যে তার ব্যবসা বাড়তে থাকে। কিছুদিনের মধ্যে অ্যামাজন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ৪৫টি দেশে অর্ডার পাঠায়। পাঁচ বছর পর অ্যামাজনের ক্রেতার সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ । বড় বড় কোম্পানি অ্যামাজনের দরজায় ছুটে আসতে শুরু করে। ১৯৯৭ সালে অ্যামাজন পাবলিক কোম্পানিতে পরিণত হয়, আর অর্থ দাঁড়ায় ৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার। তার বয়স ৩৫ হবার আগেই তিনি হয়ে যান পৃথিবীর শীর্ষ ধনীদের একজন। অনেক মার্কেট বিশেষজ্ঞরা ধারনা করেছিলেন, অ্যামাজন এই সাফল্য ধরে রাখতে পারবে না, কারণ সব প্রতিষ্ঠানই তাদের পন্যের জন্য এমন অনলাইন শপ খুলে বসবে। কিন্তু দুই বছরের মধ্যে তাদের এই সন্দেহ ভুল প্রমাণ করে অ্যামাজন সমস্ত প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে ই-কমার্সের এক নম্বর সাইট হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।
প্রথম দিকের দিনগুলোতে অ্যামাজনের মূল আকর্ষন ছিল এটির প্রদানকৃত সুবিধা। কোনো গ্রাহককে তার প্রয়োজনীয় বইটি খুঁজে পেতে কোন বইয়ের দোকানে ঘুরে দেখার প্রয়োজন ছিলো না। নিজের বাড়িতে বসে পছন্দ মোতাবেক বই অনুসন্ধান, নির্বাচন এবং কেনার ব্যবস্থা ছিলো সেই সময়কার এক বিস্ময়কর উদ্ভাবন। কেবল তা-ই নয়, অ্যামাজন ক্রয়কৃত পন্যটি কয়েক দিনের মধ্যে গ্রাহকদের কাছে পাঠিয়ে দিতে সক্ষম হয়। কিছু সময়ের মধ্যেই তারা আরও বেশি সংখ্যক পণ্য সরবরাহ করতে শুরু করলো এবং আরও বেশি সংখ্যক গ্রাহকদের কাছে প্রশস্ত হতে লাগলো। ১৯৯৮ সালে বেজোসের অ্যামাজন শুধু মাত্র বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে সিডি ও ভিডিও টেপ ও বিক্রি শুরু করে। এরপর বড় বড় খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে চুক্তির মধ্য দিয়ে একে একে পোশাক, ইলেক্ট্রনিক্স, খেলনা ও অন্যান্য পন্যও যোগ হয়। তারপর বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান তার সাথে চুক্তি করতে থাকে। অ্যামাজনের সাফল্য অন্যান্য অনেক সফল সংস্থার মতো ই। কিন্তু তারা যে পরিষেবা দিতো, তা থেকে তারা গ্রাহকের আনুগত্য অর্জন করতে সক্ষম হয়। এবং ফলস্বরূপ, দীর্ঘমেয়াদে বড় লাভ ও সফল ব্যবসা। গ্রাহকদের জন্য অ্যামাজন তৈরি করে আরও একটি নতুনত্ব। আগের ক্রয়ের উপর ভিত্তি করে, অন্য পণ্যগুলোতে অফার দিতে থাকে গ্রাহকদের। এই নতুনত্বের মাধ্যমে অ্যামাজন বেশি আয় করতে সক্ষম হয়। অ্যামাজনের সাফল্যের পেছনে সবথেকে বড় হাতিয়ার হলো, জেফ বেজসের নতুন চিন্তাধারা এবং তা যেকোনো মূল্যে বাস্তবায়ন করা। এরপর ২০০৬ সালে অ্যামাজন পণ্য বিক্রির পাশাপাশি তাদের “video on demand” সার্ভিস চালু করে। ২০০৭ সালে অ্যামাজন তাদের ডিজিটাল বই পড়ার একটি সফটওয়্যার “কিন্ডল -(Kindle)” বাজারে ছাড়ে, যার মাধ্যমে গ্রাহকেরা বই পড়ার পাশাপাশি বই কেনা, ডাউনলোড, ও স্টোর করার সুবিধা পায়। ২০১৪ সালে অ্যামাজন মোবাইল ফোনের বাজারে নামার জন্য ‘ফায়ার ফোন’ মার্কেটে আনে। কিন্তু এই প্রকল্পটি বেশিদিন সাফল্য পায় নি। এরপর আসে সেই কাঙ্ক্ষিত বছর, যেটির জন্য তার এত পরিশ্রম। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ব্লুমবারগের হিসাব মতে, তার মোট সম্পদের পরিমাণ হয় ১১৮.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দখল করে নেন সারাবিশ্বের ধনকুবের মধ্যে শীর্ষ ও প্রথমস্থান। তার থেকে অনেকটা পিছনে দ্বিতীয় স্থানে থাকে বিল গেটস, যার সম্পদের পরিমাণ ছিলো ৯৫ বিলিয়ন ডলার। উল্লেখ্য যে, তার আগে অল্প কয়েকজন মানুষ পৃথিবীতে এতো সম্পদের মালিক হতে পেরেছিলেন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়ায় ১০৮.৭বিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্ত্রীকে সম্পত্তির অংশ দেওয়ার পর সম্পত্তির পরিমাণ কমে যায় কিন্তু তার ধনীদের মধ্য থেকে প্রথম স্থান কমেনি।

প্রায় ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক বেজোস। তিনি যদি তার চাকরি আর নিশ্চিত জীবনের নিরাপত্তা ছেড়ে অ্যামাজন শুরু করার ঝুঁকি না নিতেন, তাহলে তাঁর নিজের জীবন তো বটেই, পৃথিবীর চেহারাটাও হয়তো অন্যরকম হতো। ২০১৮ সালে ফোর্বসের কোটিপতি তালিকায় ১ম স্থান দখল করাও হতো না। ২০২১ সালে তার সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫০ বিলিয়ন ডলার। যেহেতু বিশ্বের সেরা ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় প্রায়ই পরিবর্তন আসে। তাই ব্লুমবার্গ এর সর্বশেষ বিশ্বের শীর্ষ দশ ধনীর তালিকা থেকে জানা গিয়েছে, বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী হলেন বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জেফ বেজোস। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ১৯৪ বিলিয়ন।

জেফ বেজোসকে একবার জিজ্ঞেস করা হয়, ” আপনি পৃথিবীর শীর্ষ ধনীদের একজন , অসম্ভব ক্ষমতাধর একজন মানুষ । আপনার মুখের উপর কেউ না বলার সাহস করে অ্যামাজনে?” জেফ বেজোস হেসে বলেন, ” না বলতে পারে না এমন কারো নামই তো মাথায় আসছে না, অ্যামাজনের পরিবেশটিই এমন। আমাদের দেশে যেমন ‘বস ইজ অলওয়েজ রাইট’ নীতি চলে, অ্যামাজনে কখনোই এমন হয় না। একজন পিয়নও গিয়ে আমাকে বলতে পারবে, “আমার মনে হয় ঐ কাজটি এভাবে করলে আরো ভালো হতে পারে।” সেখানে কোন ইগো নেই, খবরদারি দেখানোর মানসিকতা নেই।” এখান থেকেই বোঝা যায় কাজের আনন্দ, সবার মাঝে বন্ধন, আর ক্রেতাকে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার মানসিকতা ই জেফ বেজোসকে করে তুলেছে পৃথিবীর শীর্ষ ধনী ব্যক্তি।

এই ছিলো জেফ বেজোস সম্পর্কে বিস্তারিত জীবন বৃত্তান্ত। যেকোনো প্রশ্ন জাগলে নির্দ্বিধায় কমেন্টবক্সে কমেন্ট করুন। এবং টেকনোলজি সম্পর্কে তথ্য জানতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ।